আগের নিম্নচাপের রেস যেতে না যেতেই আবার আসতে চলেছে নিম্নচাপ। নিম্নচাপের কারনে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানালো হল লাল সতর্কতা। উপকুলের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পুর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের উপকুলের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার রাত থেকে আথবা সোমবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশপরগনা এবং পুর্ব মেদিনীপুরের জেলাগুলিতে। এছাড়া খুবই হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
দক্ষিণ বঙ্গপসাগরে নিম্নচাপ ক্রমশ এগুচ্ছে অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাডুর উপকুলে। যার প্রভাবে বাড়বে প্রুচুর পুর্বালী হাওয়া এবং জলীয় বাষ্প টূকবে। এর ফলে রাতে তাপমাত্রা বাড়বে এবং মেঘলা আকাশ হবে দক্ষিণবঙ্গের উপকুলবর্তী জেলাগুলিতে। শুক্রবার ও শনিবার পর্যন্ত মনরম পরিবেশ ও স্বাভাবিকের নিচে থাকবে তাপমাত্রা। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমবে। শুক্রবার অথবা শনিবার থেকে শুরু হবে আবহাওয়া পরিবর্তন।
আলিপুর আবাহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গনেশ কুমার দাস বলেছে, এই অঞ্চলে এখন উত্তরে হাওয়া বইছে। তাপমাত্রা নামলেও আগামী শুক্রবার থেকে আবার জলীয় বাস্প টূকবে। তবে বঙ্গপসাগরে একটি ও আরবসাগরে আরও একটি নিম্নচাপ রয়েছে। দক্ষিণ-পুর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিম দিকে এগিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাডুতে পৌছাবে।
কর্নাটকে দুই অক্ষরেখা থাকার ফলে এই অঞ্চলে একটি ঘুর্নাবর্ত সৃষ্টি হবে। এই ঘুর্নাবর্ত আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরো শক্তিশালী হবে। জোড়া ঘুর্নাবর্তের ফলে গোটা সপ্তাহ জুড়ে ভারি বৃষ্টির প্রভাবে দক্ষিণ ভারত জলে ভাসবে। গোয়া ও কর্নাটকের উপকুলে তৈরি জোড়া ঘুর্নাবর্তের ফলে তামিলনাডু, পুদুচেরি দক্ষিণ উপকুলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহে তামিলনাডূসহ একাধিক দক্ষিনের রাজ্যগুলি। সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছিল তামিলনাডু, ভারি বৃষ্টির প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গিয়েছিল। ভারি বৃষ্টির প্রভাবে কমপক্ষে তামিলনাডূতে ২০ জন এবং কেরলে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় এক হাজারের বেশি বাড়ি ফেঙ্গে গিয়েছিল এর আগের নিম্নচাপে। এবারে বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারনে আবাহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আগ্রিম সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আরব সাগরে উপকুলবর্তী মৎসজীবিদের সুমদ্রে যাওয়ার নিশেধাগা জারি করেছে।