ত্রিপুরায় আবার আক্রান্ত তৃনমূলের তিনকর্মী সমর্থকদের। ফের আক্রান্ত হল তৃনমূলের তিনকর্মী, ত্রিপুরায় এক মিছিলে তাদের উপর হামলা করা হয়। বারবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূলকর্মীরা, এ ই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে?
তাদের আক্রান্তের পর দেখা যাচ্ছে আহত এক তৃণমূল কর্মী অনির্বান সরকারকে গেফতার করছে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী বারবার আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁরা বলছে, তাদেরকে যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল বা সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ ছিল তা কার্যতভাবে মানা হচ্ছে না। তাঁরা প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলছে এবং বিরোধী পক্ষেে উপর অভিযোগ রাখছে।
যেখানে এই হামলাটি ঘটেছে, সেখানে দুপক্ষের মিছিল ছিল। তৃনমূলের বক্তব্য অনুযায়ী, বিজেপি মিছিল শেষ হবার পর তৃণমূল মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তাদের মিছিল শেষ হবার পর তাঁরা নির্দিশীষ্ট সময়ে মিছিল শুরু করে। এসময় তাদের আক্রামন করা হয় এমনটায় তৃনমূলের অভিযোগ।
তৃনমূলের মিছিলের শুরু সময় , তাদের উপর ইট, পাথর ছোড়া হয় তৃণমূল কর্মীরা আহত হয়। ওই আহত কর্মিদের গেফতার করা হয়। ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার, যত দিন এগিয়ে আসছে তত রাজনৈতিক জোরতার বাড়ছে। যেভাবে আকেরপর এক তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হচ্ছে, তার ফলে এটা নির্বাচন কমিশন এবং আদালতের দৃষ্টি আক্রশন করছে।
তৃনমূল পর্যেবেক্ষক অভিজিৎ সিনহা বলেন,’ ত্রিপুরায় ইলেকশন চলছে পারমিশন নিয়ে আমাদের মিছিল ছিল। একসাথে তো দুটো রাজনৈতিক দলের মিছিলের পারমিশান দেওয়ার কথা নয়। বিজেপি আগে মিছিলের পারমিশান ছিল এবং তার অনেক পরে আমাদের পারমিশান ছিল। এও বলেন, বিজেপি ইচ্ছা করে তাদের পারমিশান সময় বারিয়ে দিয়ে লোকজন জমায়েত করে তাঁরা আমদের মিছিলের সময় হামলা চালায়।
ত্রিপুরায় বিজেপি নেতা নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবাংলার সন্ত্রাশ এখন ত্রিপুরায় ছড়াতে চাইছে। আমাদের ভারতীয় পার্টির পাঁচ ছয়জন ঘিরে আক্রমন করেছে। যাদের চিনতে পারা গিয়েছে তাদের আক্রমন করা হয়েছে। বাকিরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেসব সন্ত্রাশিরা আসেছে তাদেরকে ধরা সম্ভব হয়নি। আমাদের ছয়জন আহত হয়েছে দুজনকে আই সি ও তে পাঠানো হয়েছে।