Pegasus spyware; বর্তমান দিনে টেকনোলজি এতো উন্নত হয়ে গেছে। মানুষ যে কোনো কাজ অনাহাসে করে ফেলছে টেকনোলজি বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে। তেমনি হ্যাকিং জগৎ উন্নত করে ফেলেছে হ্যাকাররা। মোবাইল থেকে শুরু করে বড়ো কম্পানিগুলিকে হ্যাক করে ফেলছে অনাহাসে।
Pegasus spyware ঢুকিয়ে যে কোনো ডিভাইস হ্যাক করে ফেলছে
আপনি ঘরে বসে কারুর সঙ্গে পারসনাল কথা বলছেন কিন্তু আপনার কথা আপনার অজান্তে কেউ জানতে পারবে আপনার পাশে রাখা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে।শুধু একটা Pegasus spyware ফোন ঢুকিয়ে দিলে যার মাধ্যমে হ্যাক্যাররা আপনার ফোনের সবকিছু তথ্য পেয়ে যাবে।
এই নিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে ফোনের গোপনীয়তা নিয়ে । এই স্পাইওয়্যার আপনার ফোনের একবার ঢুকে গেলে ফোনের মাইক্রোফনের ও ক্যামেরা নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে হ্যাক্যারদের হাতে।
যখন আপনি ফোন কথা বলবেন না তখনও আপনার ফোনে মাইক্রফোন চালু করে দিতে পারে হ্যাক্যাররা। আপনি ফোন কথা না বলেও আপনার ফোনে কাছে থাকলে যে কোনও কথবোকথন পুরুরটা তাঁরা শুনতে পাবে।
তাছাড়া আপনার ফোনের ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন পুরোপুরি তাদের হাতে চলে যাবে। আপনি জানতেও পারবেন না আপনার ফোনের মাধ্যমে আপনি কখন কথায় যাচ্ছেন, কার সাথে কি কথা বলছেন সব কিছু জানতে পারবে হ্যাক্যাররা। আপনার ফোনের ইমেইল ,হোয়াটস্যাপ চাট ,সব ফোটো ভিডিও এবং কন্টাক্ট লিস্ট ,ফোনে সেভ করে রাখা পাসওয়ার্ড সবকিছু চলে যাবে হ্যাক্যারদের কাছে।
এই বিষাক্ত Pegasus spyware আপনার ফোনে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব একটা কিলিক ছাড়াই। শুরুতে অজানা নাম্বার থেকে পাঠানো ম্যাসেজ বা ইমাইলের লিঙ্ক আসতে দেখা যেত। ফোনে ব্যাবহারকারী সেই লিঙ্কে কিলিক করলেই ফোনে ঢুকে পরত পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিংবা অচেনা নাম্বার থেকে মিসকল আসতো তাঁর মাধ্যেমে ঢুকে যেত এই স্পাইওয়্যার।
তবে এখনও হ্যাক্যাররা এমন প্রযুক্তি বার করে ফেলেছে যা ম্যাজেগ ,ইমেইল কিছুরি দরকার পরছে না, এইসব ছাড়াই ফোনে ঢূকে যাচ্ছে । গোপনীয়তা বলে কিছুই থাকল না ,আজ সব কিছুই তথ্য হ্যাক্যারদের হাতে চলে যাছে।
কারও ফোনে এই স্পাইওয়্যার ঢুকলে ফোন হ্যাক্যারদের হাত থেকে আটকানো অসম্ভব। আপনি কোনও লক্ষন দেখে বুঝতে পারবেন না , আপনার ফোন হ্যাক জয়েছে হয়েছে। আপনার অজান্তেই ফোনের সমস্ত কিছু গোপন তথ্য এবং আপনার কথা শুনতে ও দেখেতে পারবেন। Pegasus spyware ঢুকলে একমাত্র ফরেনসিক অডিট না করলে, আপনি কখনই বুঝতে পারবেন না।
