গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিন কৃষি আইন আনে কেন্দ্র। গত নভেম্বরের ২৬ তারিখে কৃষকরা আন্দলনে নামে এই তিন আইন তুলে নেওয়ার আর্জিতে।দীর্ঘ এক বছর পর, তিন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদীর। কৃষকদের কাছে আর্জি কৃষক আন্দোলন তুলে নেওয়ার আর্জি প্রধানমন্ত্রীর। আজ গুরু নানকের জন্মদিনে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। ৫ রাজ্যে ভটের আগে বড় সিদ্ধান্ত কন্দ্রের।
পাঁচ রাজ্যে ভোট আসছে, তার আগেই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের এবং এই ৫ রাজ্যের মধ্যে কিন্তু আছে পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ। যেসমস্ত কৃষকরা সিমান্তে বিক্ষোভ দেখাছে, তাঁরা কিন্তু বেশি ভাগ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের কৃষক। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, পাঞ্জাবে বিজেপির অবস্থান মটেই ভালো না। কংগ্রেস এই কৃষি আইনকে অবলবন করেই কিন্তু তাদের সংগঠনের মনবল বাড়িয়েছে। কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও আক্রশ সেটা কিন্তু প্রকোপ হয়েছে।
দীর্ঘ এক বছরের লড়ায়ের পর ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার হল। কৃষক আন্দোলনের নেতা হানান মোল্লা বলেন, “যদি সত্যিই প্রত্যাহিত হয়, সেটা হবে আমাদের দেশের গণ আন্দোলনের বৃহতম জয়। এই মুহুর্তে আমরা অপেক্ষা করব, কারন এর আগে আমারা অনেক মুখের কথা দেখেছি, যতক্ষন না পার্লামেন্টে প্রত্যাহার হবে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। তিনি কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, জোর চোরের বাড়ির ভাত না চালে বিশ্বাস নেই।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বললেন, “এটা গণতন্ত্র ও কৃষকদের একটা বিরাট জয়। আমরা প্রথম থেকে কৃষকদের সমর্থন করছিলাম । রাজ্যসভায় কৃষি আইন বিরধিতা করতে গিয়ে সাংসদরা বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। আজ গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, মোদি তার অনমনীয় মনভাব ছেড়েছেন। গণতন্ত্র শক্তিশালি হয়েছে, ৫ রাজ্যরে ভোট ও বিক্ষভের কারনেই ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা।”